যশোরে মুলার বাম্পার ফলন, তবে লাভ কম

Ads

মোকাম যশোরের সাতমাইল বারীনগর দেশের বৃহত্তর সবজির পাইকারি হাট এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর এঅঞ্চলে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। মুলার বাম্পার ফলন হলেও বাজারে তেমন দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। ন্যায্য মূল্য নিয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে নানা অভিযোগ রয়েছে।

মোকামে শীতকালীন অন্যান্য সবজির তুলনায় মুলার আমদানি ছিল অনেক বেশি। ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ বেড়েছে ফলে লাভের পরিমাণ সীমিত। কৃষকরা একই জমিতে পর পর তিনবার মুলার আবাদ করতে পেরেছেন। তাই মুলার এতো উৎপাদন হয়েছে। কল সবজির বাজারদর ভালো থাকলেও মুলার দর তেমন নেই।

ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে লাভের পরিমাণ সীমিত হয়েছে বলে জানা কৃষকরা। অন্যদিকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বেড়েছে পরিবহন খরচ এবং কৃষি উৎপাদন। ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ী কেউই লাভের মুখ দেখছেন না। এখানকার মুলা রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দ্রুত সবজি পৌঁছে যাচ্ছে।

মোকাম কর্তৃপক্ষ থেকে জানা যায়, প্রতিদিন মোকাম থেকে প্রায় ৪০-৬০ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এর মধ্যে ২০-৩০ ট্রাক মুলা। হাটে মুলা প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। এছাড়া বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, ফুলকপি ৫৫-৬০ টাকা, শিম ৬০-৬৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হৈবতপুর ইউনিয়নের বারীনগর গ্রামের কৃষক সোলাইমান হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর মুলার ফলন বেশি হয়েছে। ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকদের উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই লাভ সীমিত। তবে অন্যান্য সবজির থেকে মুলার দাম খুবই কম।

যশোর জেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে এবং আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার হেক্টর। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...