মালবেরি বা তুঁত ফল চাষে ঝুকছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা

Ads

বর্তমান সময়ে ব্যাপক চাহিদা ও দাম থাকায় মালবেরি বা তুঁত  সুস্বাদু ফলটি চাষিদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মালবেরি বা তুঁত ফল চাষে ঝুকছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা।

মালবেরি নামটি পরিচিত না থাকলেও গ্রাম-গঞ্জে ফলটিকে তুঁত ফল হিসেবে চিনে সবাই। তুঁত গাছের পাতা রেশম উৎপাদনের গুটি পোকার প্রিয় খাদ্য। সে হিসেবে তুঁত ফল হিসেবেই বেশি পরিচিত।

মালবেরি ফল দেখতে সবুজ, লাল ও কালো রং হওয়ায় ফলটি দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। তুঁত গাছের পাতা রেশম উৎপাদনের গুটি পোকার প্রিয় খাদ্য।

সে হিসেবে তুঁত ফল হিসেবেই বেশি পরিচিত। পাকা ফল রসালো এবং টক-মিষ্টি স্বাদের। ফ্যাটবিহীন সুমিষ্ট স্বাদযুক্ত এই ফলটি খুবই পুষ্টিকর। প্রতিটি গাছ থেকে ৮-১০ কেজি ফল সংগ্রহ করা যায়।

মালবেরির আদিবাস চীনে। ভারত, বাংলাদেশ, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে মালবেরি ফলের চাষ হয়ে থাকে। মূলত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে তুঁতের চাষ হয়। বিশেষ করে রাজশাহীতে বাংলাদেশ রেশম চাষ উন্নয়ন বোর্ড অবস্থিত হওয়ায় এখানে তুঁতের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া তুঁত ফল বেশি সুস্বাদু।

মালবেরি বা তুঁত ফল চাষে ঝুকছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা

শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখতে অনেকেই প্রাকৃতিকভাবে প্রতিকারের উপায় সন্ধান করে থাকেন। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মালবেরি বা তুঁত ফল। তুঁত ফলের মধ্যে রয়েছে ১.৪% প্রোটিন, ৯.৫% কার্বোহাইড্রেট এবং ১.৭% ফাইবার। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

উচ্চমূল্যের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মালবেরির বাগান করছেন জেলার বোদা উপজেলার মাসুদ রানা। তিনি পরীক্ষামূলকভাবে লাগান ১৫টি চারা। এটি আবাদ করতে তেমন খরচ নেই। রোগবালাইও খুব কম। তেমন কীটনাশক লাগে না। গাছে পাতার চেয়ে ফলই বেশি। সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল আসে। মার্চ-এপ্রিলেই ফল পাকতে শুরু করে। তবে সারা বছরই মিলে এ ফল।

তিনি বলেন, ফলটি বিদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় এবং বাজারজাত করা হয়। বাজারেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নতুন এই ফলটি আমি পরীক্ষামূলকভাবে থাইল্যান্ড, ভারত, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া ও ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আটটি জাতের ১০টি গাছ সংগ্রহ করে এই মালবেরি চাষ করেছি এবং পরীক্ষামূলকভাবে চাষে প্রতিটা গাছে ফল এসেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ মো. নইমুল হুদা সরকার বলেন, তুঁত কিংবা মালবেরি একটি অপ্রলিত ফল। আগে এর প্রচুর চাষ হলেও মাঝে অনেকদিন চাষ করা থেকে চাষিরা বিরত ছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় মালবেরির পুষ্টিগুণ ও বাজার চাহিদা থাকায় এর চাষ বাড়ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শমুলক সেবা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...