মুলার কেজি ১ টাকা, হতাশ নাটোরের কৃষকরা
চলতি মৌসুমে নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য মাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন হয়েছে বিভিন্ন শীতকালীন সবজির। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালিন সবজির দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা। পাইকারী বাজারে দাম না থাকায় মাত্র ১ টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। বাজারে মুলার তেমন পাচ্ছেন না কৃষকরা এছাড়াও কাঁচামরিচের দাম কমেছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে সবজির বর্তমান বাজারমূল্য নিয়ে সন্তুষ্ট নন কৃষকরা।
চলতি বছর নাটোর জেলায় প্রায় ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলুসহ ৩১ ধরনের সবজির আবাদ হয়েছে। বর্তমান বাজারমূল্য কম থাকায় লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই এলাকার প্রান্তিক চাষিরা।
এদিকে নাটোরের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু ১২ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, বেগুন ১২-১৪ টাকা, মুলা ১ টাকা, লাউ ৫-৭ টাকা, সিম ১৫-১৬ টাকা, পেঁপে ৮-১০, গাজর ১৫, বাঁধাকপি ৩ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।
জেলার স্টেশন বাজারে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে ব্যাপক হারে আলু, টমেটো, গাজর, বাঁধাকপি ও কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যায়। এতে গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ১৮ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়, ২০ টাকার টমেটো ১৫ টাকায়, ২৫ টাকার গাজর ১৫ টাকায়, ৮৫ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। এছাড়া বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকায়। তবে ফুলকপি, বেগুন ও শিমের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে কাজী রফিকুল আলম বলেন, প্রতিদিনই সবজির দাম কমছে। আমাদের খরচেই উঠছে না। পরবর্তীতে কীভাবে আমরা উৎপাদনে যাবো। এই অবস্থা চলমান থাকলে সবজি চাষে অনেক কৃষক নিরুৎসাহিত হবে বলেও তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।