ঈশ্বরদীতে গাজরের ব্যাপক ফলনে জমি থেকেই বিক্রি

Ads

পাবনার ঈশ্বরদীতে গাজরের ব্যাপক ফলন হয়েছে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলার উঁচু জমিতে গাজর চাষ ভালো হয়। আবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে রোগ বালাই কম, স্বল্প শ্রম, উৎপাদন বেশি এবং দাম ভালো পাওয়ায় গাজর চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের।

গত বছর গাজরের বীজের দাম কেজি প্রতি ১৭৩০০-১৭৫০০ টাকা থাকলেও সেটা ৪,০০০ টাকা বেড়ে এ বছরে দাম বেড়ে কেজি প্রতি বীজের দাম হয়েছে ২১,৫০০-২২,০০০ টাকা।শ্রমিক খরচ মাথাপিছু ৬০০-৭০০ টাকা এছাড়া এক বেলা তাদের খাবার দিতে হয় । সার, বিষ, সেচ সব মিলিয়ে এক বিঘা জমিতে গাজর চাষ করতে খরচ হচ্ছে ৪৫-৫০ হাজার টাকা৷

মৌসুমে একই জমিতে দুবার গাজরের আবাদ হয়ে থাকে। গাজর জমিতে থাকতেই বেপারিরা এসে একটা দাম ধরিয়ে জমির গাজর কিনে নেন।আর ৭-১০ দিন পরেই উঠবে গাজর। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

এক বিঘা জমিতে ১০০ থেকে ১২০ মন গাজর আবাদ হয়৷ এতে এক লাখ থেকে সোয়া ১ লাখ টাকা পর্যন্ত গাজর বিক্রি করতে পারছেন কৃষক। গাজর ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া লক্ষীকুণ্ডা, সাহাপুর ও সলিমপুর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়।

বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ঈশ্বরদীর কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবারে ১০০ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। গাজর চাষ গত বছরের তুলনায় এবারের খরচটা কিছুটা বেশি হয়েছে। এবারে বীজের দাম বেশি থাকার কারণে বিঘা প্রতি গাজর চাষের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। গাজর জমি থেকেই এক লাখ থেকে লাখ দেড় লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা সহযোগীতা করেছে বিভিন্নভাবে।

গাজর চাষি ভুট্রু আলী বলেন, এ বছর আমি ১৭ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। খাজনা, বীজ, সার, শ্রমিক খরচ দিয়ে ১৭ বিঘা জমিতে গাজর আবাদ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। এবার বীজ কিনেছি ২১,৫০০ টাকা কেজি যা গত বছরে ছিল ১৭,৩০০ টাকা গাজর উঠতে আর ৭-১০ দিন সময় লাগবে ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার বলেন, গাজর লাভজনক। দিন দিন চাষিরা গাজর চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছে৷ এটা সরকারের একটা ভালো উন্নয়নমূলক বিষয়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে গাজর চাষে কৃষকদের সব রকম সহযোগিতা করা হয়েছে এবং সর্বদা সার্বিক সুযোগ সুবিধা আসলে তাদের দেয়া হবে৷

এ বছর ঈশ্বরদী উপজেলার ৮৫০ হেক্টর জমিতে গাজরের চাষ করা হচ্ছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ৮৫৬ হেক্টর। গাজর বাজারে উঠলে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি গাজর বিক্রয় হয়। এবারে ৪০ মেট্রিকটন ফলনের আশা করা যাচ্ছে । উপজেলার সাত ইউনিয়নের মধ্যে দাশুড়িয়া, লক্ষীকুণ্ডা, সাহাপুর ও সলিমপুর ইউনিয়নে গাজরের আবাদের পরিমাণ বেশি। বাকি তিন ইউনিয়নে আবাদ কম।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...