ক্যাপসিকাম চাষে খুশি কৃষকরা, কম খরচে অধিক লাভ

Ads

কম খরচ ও স্বল্প পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় ক্যাপসিকাম চাষে ঝুকছেন ভোলার চাষিরা। দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্যাপসিকামের চাষ। চলতি বছর ক্যাপসিকামের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভাল চাহিদা ও দাম থাকায় খুশি জেলার প্রান্তিক চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় প্রায় ১০০ একর জমিতে ক্যাপসিক্যামের চাষ হয়েছে। এছাড়াও প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্যাপসিকামের চাষ। এ বছর জেলার আবহাওয়া ও জলবায়ু অনুকুলে থাকায় ক্যাপসিকামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাআড়্ব ক্যাপসিকাম উচ্চমূল্যের ফসল হওয়ায় চাষিরা এর চাষে ঝুকছেন। চলতি বছর জেলার রায় ৯০০ কৃষক  ক্যাপসিকাম চাষ করেছে।

ক্যাপসিকাম চাষি আকবর জানান, এর আগে অন্য ফসল চাষ করতাম। পরবর্তীতে কৃষি অফিসারের পরামর্শে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করি। প্রথম বছরেই ভাল ফলন পাই। স্থানীয় বাজারসহ রাজধানীতে ব্যাপক দাম থাকায় ভাল দামও পাচ্ছি। ক্যাপসিকামের চাষাবাদে প্রচলিত অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ খুবই কম ফলে বেশি লাভ করা যায়।

ক্যাপসিকাম রোগ-পোকা মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে ও কম পরিশ্রমে ক্ষেতে ব্যাপক ফলন হওয়ায় খুশি কৃষকরা। এ পর্যন্ত তারা প্রত্যেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক চাষি।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসূল কবীর জানান, ক্যাপসিকাম বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা এটি চাষ করছেন। এ বছর কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল হওয়ায় আগামীতে আবাদের পরিমাণ ৩ থেকে ৪ গুণ বাড়তে পারে। নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের কৃষি বিভাগের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শমুলক সেবা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...