আগাম ফুলকপিতে ভরে গেছে সবজি বগুড়ার বাজার

Ads
ভালো দাম পাবার আশায় কৃষকরা ফুলকপির আগাম চাষ করছেন। বগুড়ায় শীতকালীন সবজি ফুলকপির ব্যাপক ফলন হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণ। ফুলকপির পাশাপাশি বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, আলু, বরবটিসহ অন্যান্য শাক-সবজি চাষ করা হচ্ছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
বগুড়ার অন্যান্য উপজেলার মধ্যে শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর, ধুনট, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, নন্দীগ্রাম উপজেলা আগাম শীতকালীন সবজির চাষ বেশি হয়। এসব উপজেলার কৃষকরা প্রতি বছর বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে থাকেন। এখন বিভিন্ন বাজারে ফুলকপির বেচাকেনা চলছে। কৃষকরা ভালো বাজারদর পাচ্ছেন। সবজির ন্যায্য মূল্য পেয়ে বেশিরভাগ কৃষকই ঝুঁকছেন শীতকালীন সবজি চাষে। এতে করে একদিকে যেমন দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে অন্য দিকে বদলে যাচ্ছে কৃষকের জীবনযাত্রার মান।
শীতকালীন অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বাজারে ফুলকপি প্রচুর সরবরাহ হয়েছে। বাজারে দামও ভালো। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।
বগুড়া রাজাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শাহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে খুব বেশি পরিমানে আগাম ফুলকপি আসতে শুরু করেছে। নতুন সবজি হিসেবে বাজারে ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শীতের সবজি ফুলকপির স্বাদ আলাদা হওয়ার কারণে ক্রেতারা অন্য সবজির পাশাপাশি ফুলকপি বেশি কিনছেন। দাম এখন কিছুটা বেশি হলেও কিছুদিন পর সরবরাহ আরো বাড়লে তখন দাম কমে যাবে।
পাইকারী বাজারে ফুলকপির সবচেয়ে বড় হাট মহাস্থান হাট। এখান থেকে প্রতিদিন শতশত ট্রাক ফুলকপি দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন বলেন, চলতি বছর বগুড়ায় ২ হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে। এর থেকে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন ফলন পাওয়া যাবে। গত বছরের তুলনায় এবছর ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজির চাষ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবছর প্রচুর শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। বাজারে ফুলকপির আমদানি প্রতিদিন বাড়ছে।
Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...