ছাদ বাগান জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কুষ্টিয়ায়

শহরের চাষের জায়গার অভাব থাকায় বাড়ির মালিকরা ছাদেই বাগান গড়ে তুলেছেন। কুষ্টিয়ায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ছাদ বাগান।  এতে নিজেদের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ফল ও সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। প্রায় অধিকাংশ বাড়ির ছাদে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফলের গাছ। ছাদে ঝুলছে বিভিন্ন ধরনের বারোমাসি ফল। এগুলোর মধ্যে আম ও পেয়ারা যেমন আছে, তেমনি আছে আতা, পেঁপে, জাম্বুরা ও আমড়া।

কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ার ছাদ বাগানি মনিবর হোসেন বলেন, আমি আমার বাড়ির ছাদে বাগান গড়ে তুলেছি। ছাদে বিভিন্ন ধরনের বারোমাসি ফল ও সবজির চাষ করছি। পাশাপাশি ছাদ বাগান থেকে প্রকৃতিতে সরবরাহ হচ্ছে অক্সিজেন। প্রতিটি ছাদ বাগান হয়ে উঠেছে একেকটি অক্সিজেন চেম্বার, সাথে মিটছে পুষ্টির চাহিদা।

কুমারখালী উপজেলার পৌর এলাকার ছাদ বাগানি শামীমা আক্তার বলেন, শহরে গাছ লাগানো বা ফল, সবজির চাষাবাদ করার জায়গা নেই বললেই চলে। তাই অবসর সময় কাটানোর জন্য ও নিজেদের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য বাড়ির ছাদি বাগান গড়ে তুলেছি। প্রথমে ফুল বাগান দিয়ে শুরু করি। আস্তে আস্তে বাগান বড় হয়। বর্তমানে সতেজ সবজি লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ, পুঁইশাক, ধনিয়া পাতাসহ নানা রকম ফলের গাছ থেকে ফল পাচ্ছি। বাগান পরিচর্যা করতে করতে আমার অবসর সময়টা ভালোই কেটে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ বলেন, ইট-পাথরের শহরে ফলের গাছ ও সবজির চাষাবাদ করার কোনো জায়গা থাকে না। তাই বাড়ির মালিকরা তাদের বাড়ির ছাদে বাগান করে নিজেদের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছেন। পাশাপাশি তাদের অবসর সময়ও কাজে লাগাচ্ছেন। বাড়ির ছাদে বাগান গড়ে তোলায় প্রকৃতিতে অক্সিজেনেরও সরবরাহ বাড়ছে। কুষ্টিয়া জেলা শহর ও উপজেলা শহরের ছাদ বাগান বাড়তে শুরু করেছে। এখন জেলায় প্রায় ২শ বাড়ির ছাদে বাগান হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে ছাদবাগান সম্প্রসারণে বাগানিদের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হচ্ছে।

আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...