৩ লাখ টাকা লাভের আশা সাঈদের কলা চাষে

Ads

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের ওমরাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ ওয়াজি উল্যাহ সাঈদ কলা চাষে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কম খরচে ভালো ফলন ও বাজারে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে তিনি কলা চাষে সফল হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। উন্নত জাতের কলা চাষ করে এলাকায় খুব সুনাম অর্জন করেছেন।

গত বছর মোহাম্মদ ওয়াজি উল্যাহ সাঈদ তার পড়ে থাকা জায়গায় উন্নত জাতের চারা রোপন করেন। প্রায় ৩০০ টি সাগর ও রঙিলা সাগর চাষ করেন তিনি। উন্নত জাতের কলা চাষ করে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। প্রতিদিন অনেকেই তার বাগান দেখতে আসেন। বাগান থেকে প্রতিদিন অনেকেই কিনে নিচ্ছেন কলা ও গাছের চারা। এতে আগ্রহ বাড়ছে বেকার যুবক ও চাষিদের।

মোহাম্মদ ওয়াজি উল্যাহ সাঈদ বলেন, গত বছর আমার পড়ে থাকা ৩৩ শতাংশ জমিতে ৩০০টি উন্নত জাতের সাগর ও রঙিলা সাগর কলার চারা রোপন করে চাষ শুরু করি। পাশাপাশি পেঁপেসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কলায় ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগবালাই ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা করি। এখন বাজার মূল্য ভালো পাচ্ছি।

অন্য যেকোনো ফসলের থেকে কলা চাষে বেশি লাভ করা যায়। কলা চাষের পাশাপাশি জমিতে অন্য সবজিও চাষ করা যায়। অন্য ফসলের চেয়ে কলার দামও বেশি। বৈশাখ মাসে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। আমি বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা করছি। বর্তমানে সাগর ও রঙিলা সাগর চাষ করে প্রতিমাসে আয় করছি প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এতে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ টাকা আয় করতে পারবো।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, গাছ লাগানোর ১১ মাসের মধ্যে কলা কাটা যায়। এর মধ্যে কলা পাওয়া যায় ৩০০ থেকে ৩২০টি। এই উপজেলায় কলার চাষ বেশ সাড়া পড়েছে। আমরা কলা চাষে নতুন উদ্যোক্তাদের সবধরনের সহযোগীতা করবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, আমরা কলা চাষিদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছি। আধুনিক ব্যাগিং পদ্ধতিতে কলা চাষ করলে পোকামাকড় ও বিভিন্ন রোগবালাই থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ফলে ফলন ভালো হয় আর কৃষক লাভবান হয়।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...