চায়না কমলা চাষে সফল হয়েছেন চাষি ইউসুফ আলী

Ads

চায়না কমলা চাষে সফল হয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলার চাষি ইউসুফ আলী। বাজারে দুই ধরনের কমলার বেশ চাহিদা রয়েছে। একটি হলো দেশি সবুজ কমলা আরেকটি চায়না কমলা।  তার তিন বিঘা জমিতে করা চায়না কমলা বাগানের প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ঝুঁলছে মিষ্টি কমলা।

চাষি ইউসুফ আলী যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার তিন বিঘায় গড়ে তোলা চায়না কমলার বাগানটি এলাকার মানুষকে হতবাক করেছে। প্রায় প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ঝুঁলছে কমলা। আমাদের দেশেও যে চায়না কমলা উৎপাদন করা যায় তিনি সেটা প্রমান করে দিলেন। কমলার ভালো ফলনও হয়েছে। তার এই সফলতা দেখে অনেকে চায়না কমলা চাষের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।

চাষি ইউসুফ আলী বলেন, বিগত দুই বছর আগে ৩ বিঘা জমিতে ৩৫০টি চায়না কমলার চারা লাগিয়ে বাগান শুরু করি। এখন প্রায় প্রতিটি গাছেরই ভালো ফলন হয়েছে। এই দুই বছরেই প্রাতিটি গাছ থেকে প্রায় ৪০-৫০ কেজি ফলনের আশা করছি।

বাগানের গাছের পরিচর্যার জন্য ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। বাজারে এই জাতের কমলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ১ বিঘা জমিতে চায়না কমলার উৎপাদন করে সকল খরচ বাদ দিয়ে ২-৩ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, দেশের আবহাওয়ায় চায়না কমলার ভালো ফলন এটা আমাদের জন্য সুখবর। আমরা চাষিদের সার্বিক সহযোগীতা করবো।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...