লিটন আলী স্বচ্ছল, আয় লাখ টাকা কৃষিকাজে

Ads

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চরনুরনগর এলাকার কৃষক লিটন আলী শেখ কৃষিকাজ করে ভাগ্য বদলেছেন। একসময় সংসারের খরচ, দু’বেলা খাবার জোটানোই কষ্টকর ছিল। সন্তানদের পড়াশোনা করানোর কথা মাথায়ই আনতেন না। কৃষি কাজ করে এই অনিশ্চিয়তা কাটিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি সংসারের সকল খরচ চালিয়ে সন্তানদের পড়াশোনাও করাচ্ছেন এই কৃষি কাজ করেই।

লিটন আলী শেখের এখন সন্তানদের পড়াশোনার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। বর্তমানে তিনি আদা, হলুদ, ভিয়েতনামি নারিকেল গাছ, লাউ গাছ, আম গাছসহ বিভিন্ন ফলমূলের চাষ করছেন। এই সব কিছু চাষ করে বছরে তিনি লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

এই এলাকাটি বন্যাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় এখানে আখ ও পাট ছাড়া কিছুই চাষ করা হতো না। আমি এই এলাকায় ধান, গম, আদা, লাউ, বেগুন, আলু, হলুদ ও ফুলকপিসহ নানা ধরনের সবজির আবাদ শুরু করি।

৯৯৮ সালে ১১ হাজার টাকা ধার করে ৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বাদাম চাষ করেছিলাম। এবছর ৩৩ শতাংশ জায়গায় ১৫ হাজার টাকা খরচে গ্রিন জাতের লাউ চাষ করি। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। আরো ২০-৩০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ৫০ শতক জমিতে বারি-১ জাতের আদা চাষ করেছি। এই আদা চাষে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি আদা থেকে লাখ টাকা আয় করতে পারবো। চাষাবাদ করে আমি প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পত্তি করেছি।

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাহসীন তাবাসসুম বলেন, আমরা কৃষক লিটনকে সব ধরনের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ দিয়ে সহযোগীতা করছি।

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহম্মেদ বলেন, লিটন আলী একজন সফল কৃষক। সবজি চাষে তিনি ব্যাপক বিপ্লব ঘটিয়েছেন। কৃষি কাজে আমরা সবধরনে সহযোগীতা দিয়ে আসছি।

সবজি চাষে অল্প খরচে দুইগুণ লাভ হওয়ায় এলাকার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় স্বল্প সময়ে কম খরচে অধিক ফসল উৎপাদন হচ্ছে।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...