ইন্দোনেশিয়ান জাতের ব্লাকরাইস ধান চাষে শফিকুলের সাফল্য

Ads

প্রথম কৃষক হিসেবে শাফিকুল ইসলাম বাবু পরীক্ষামূলকভাবে ব্লাকরাইস ধান চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন। নীলফামারীর সৈয়দপুরের কৃষক মো. শফিকুল ইসলাম বাবু বিদেশি(ইন্দোনেশিয়ান) ব্লাকরাইস ধান চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। দূর্লভ এই চাল খুব সহজে পাওয়া যায় না।

শফিকুল ইসলাম বাবু নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর দেওয়ানিপাড়া গ্রামের কৃষক। তিনি এই উপজেলার মাটিতে প্রথম এই বিদেশি জাতের ধানের চাষ করেছেন।এ ধানে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিজেন থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক পরিষ্কার করে ও শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে ফুরফুরে রাখে। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। কালো চাল ডায়েবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক। তাই এই ধান পাওয়া খুবই দূর্লভ। কোথাও পাওয়া গেলেও দুর্লভ এই চালের কেজি ৮শ টাকা।

কৃষক শফিকুল ইসলাম তার ২২ শতক জমিতে এই ধানের চাষ করেছেন। উপজেলায় এই ধান চাষ করায় তিনিই প্রথম কৃষক হওয়ায় অন্যান্য কৃষকের মাঝেও এই ধান চাষে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

কৃষক শফিকুল বলেন, অনলাইনে এই ধানের বিষয়ে জানতে পেরে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চট্টগ্রামে এর সন্ধান পাই। তারপর সেখান থেকে নিয়ে এসে চাষাবাদ শুরু করি। ১ হাজার টাকা দিয়ে ৫০০ গ্রাম ধান কিনে নিয়ে আসি। যার ১ কেজি চালের দাম ৮০০ টাকা।

এই ধানে ফলন অনেক ভালো। প্রায় ৯০ দিনেই ধান কাটার উপযুক্ত হয়। এই ধানে সার ও বিষ ব্যবহার না করলেও চলে। পোকামাকড় বা রোগবালাইও নেই। এই ধান গাছ অন্য ধান গাছের মতো হলেও ধানের শিষ এবং চাল সবকিছুই লালচে কালো ও চিকন। নেই। ফলন প্রতি বিঘায় ১৮-২০ মণ হতে পারে। সৈয়দপুরে আমিই প্রথম চাষি হিসেবে এই ধান চাষ করতে পেরে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমতা সাহার বলেন, ব্লাকরাইস ধান একটি বিদেশি জাতের ধান। এই ধানের চাষাবাদ এখনো তেমন বিস্তার লাভ করেনি। সৈয়দপুরে এই প্রথম এই জাতের ধানের চাষ হয়েছে। উৎপাদন ভালো হলে এর বিস্তারের কাজ শুরু হবে।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...