ভারত থেকে আসছে সজনে ডাঁটা

Ads

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সজনে ডাঁটার চাহিদা থাকায় ভারত থেকে এই পুষ্টিযুক্ত সবজি আমদানি করা হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন রোববার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিনে ২৭ ট্রাকে এসেছে ২৮৫ টন সজনে ডাঁটা। যা থেকে ৫২ লাখ ২৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশীয় সজনে ডাঁটা এখনো বাজারে আসেনি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সজনে ডাঁটার চাহিদা থাকায় ভারত থেকে এই পুষ্টিযুক্ত সবজি আমদানি করা হচ্ছে।

হারুন উর রশীদ বলেন, ৭ দিনে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৭টি ট্রাকে ২৮৫ টন সজনে ডাঁটা আমদানি করা হয়েছে। আমদাানি করা সজনে ডাঁটা রোববার দুপুর পর্যন্ত সব সজনে ডাঁটা হিলি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকাররা নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এ মৌসুমে পবিত্র রমজান মাসের আগে এবং রমজান মাসের মধ্যে সজনে ডাঁটার প্রচুর চাহিদা থাকায় আমদানিকারকেরা আরও হাজার ডাঁটা আমদানি করতে এলসি খুলেছে। দেশীয় সজনে ডাঁটা বাজারে না আসা পর্যন্ত ভারত থেকে সজনে ডাঁটা আমদানি চলমান রাখা হবে।

তিনি বলেন, আমদানি করা এ সবজি বগুড়া, ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হচ্ছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে এর চাহিদা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। প্রতি টন আমদানিতে ১৫০ ডলার এবং কেজিতে ২০ টাকা হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। বন্দরের পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কেজি হিসেবে।

পাকাইকার আব্দুল মমিন বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা সজনে ডাঁটার মান ভালো হওয়ায় এর চাহিদা বাড়ছে। তিনি হিলি স্থলবন্দর থেকে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে কিনে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারছেন। এতে তার লাভ ভালোই হচ্ছে।

আমদানিকারক মো. রাশিদুজ্জামান জানান, তিনি গত ৭ দিনে ৯টি ট্রাকে ৪২ টন সজনে ডাঁটা ভারত থেকে আমদানি করেছেন। তার আমদানি শজনের ডাঁটা বাংলাদেশ শুল্ক পরিশোধ করে যে মূল্যে বিক্রি করেছেন তাতে তিনি ভালো লাভ করেছেন। দেশি সজনে ডাঁটা বাজারে না আসা পর্যন্ত ভোক্তাদের কাছে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই তিনি আরও ২০ টন সজনে ডাঁটা আগামী দু দিনের মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করবেন। তিনি আশা করছেন আগামী ৫ মার্চের মধ্যেই তার এলসি খোলা সজনে ডাঁটাগুলো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে।

হিলি স্থল বন্দর কাস্টম গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জানান, ভারতীয় সজনে ডাঁটার চাহিদা থাকায়, স্থলবন্দর দিয়ে সজনে ডাঁটার ট্রাক প্রবেশের পর কাঁচামাল হওয়ায় দ্রুত খালাস করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরপর আমদানিকারকেরা বাইরে থেকে আসা পাইকারদের কাছে সহজে সজনে ডাঁটা বিক্রি করে দিতে পারছেন। এ কাঁচামাল আমদানি করে আমদানিকারকেরা এখন পর্যন্ত কেউ ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। সজনে ডাঁটা আমদানি থেকে এ পর্যন্ত ৫২ লাখ ২৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...