বাঁধাকপিতে পোকার আক্রমণ ও রোগ দমনে করণীয়

Ads

বাঁধাকপিতে পোকার আক্রমণ ও রোগ দমনে করণীয় বেশ কিছু কাজ রয়েছে। সেগুলো জানলে কৃষকরা সঠিক সময়ে রোগ ও পোকার আক্রমণ বন্ধ করে অধিক ফলন পেতে পারেন। আমাদের দেশে বর্তমানে ব্যাপকহারে বাঁধাকপির চাষ করা হয়ে থাকে। আসুন আজ জেনে নিব বাঁধাকপিতে পোকার আক্রমণ ও রোগ দমনে করণীয় সম্পর্কে-

বাঁধাকপিতে পোকার আক্রমণ ও রোগ দমনে করণীয়ঃ

চারা ধ্বসা রোগঃ

বাঁধাকপির এ রোগ প্রতিরোধ করতে হলে ১০০ থেকে ১২৫ কেজি প্রতি একর হারে সরিষা খৈল প্রয়োগ করেও সুফল পাওয়া যায়। ঢলে পড়া চারা দেখা মাত্রই তুলে তা ধ্বংস করতে হবে।পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার ও পরিমিত ইউরিয়া ব্যবহার করা। জমি সবসময় আর্দ্র বা ভিজা না রাখা এবং পানি নিকাশের ব্যবস্থা রাখা।

পাতায় দাগঃ

বাঁধাকপির এ রোগের প্রতিকারের জন্য সুষম সার ও সেচের ব্যবস্থা ও সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে চারা রোপণ করতে হবে। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় স্কোর ২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ৫ এমএল হারে ২ সপ্তাহ পরপর স্প্রে করতে হবে।

কালো পচাঃ

বাঁধাকপির বীজ বপনের পূর্বে ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার গরম পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে বীজ শোধন করে নেয়া। ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত এবং অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে।

সরুই পোকাঃ

বাঁধাকপির ফসল সংগ্রহের পর ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা এবং পরে জমি ভালো করে চাষ করা। কীড়া এবং ডিম সম্ভব হলে হাত দিয়ে পিষে মারা। প্রোক্লেম ৫ এসজি-১ গ্রাম প্রতিলিটার লিটার পানিতে প্রয়োজনীয় পানির সাথে আনুপাতিক হারে প্রোক্লেম মিশিয়ে ভালোভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে এবং প্রয়োজনে ৫ থেকে ৭ দিন পরপর স্প্রে করে দিতে হবে।

কাটুই পোকাঃ

কাটুই পোকার আক্রমণে একর প্রতি ৩০০ এমএল, প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ এমএল ক্যারাটে মিশিয়ে সারির উপর দিয়ে গাছের গোড়া বরাবর ভালোভাবে মাটি ভিজিয়ে দিতে হবে। স্প্রে শেষে গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে।

লেদা পোকাঃ

যদি সম্ভব হয় তাহলে হাত দ্বারা কীড়া ও ডিম সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। ভলিয়াম ফ্লেক্সি ৩০০ এসসি প্রতি লিটার পানিতে ৫ এমএল হারে মিশিয়ে গাছ ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...