২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,বর্ষাকাল
E-krishi-logo

প্রচ্ছদ > মেয়াদ বাড়াতে ভারতের নাকচ চিনি রফতানিতে ভর্তুকির

মেয়াদ বাড়াতে ভারতের নাকচ চিনি রফতানিতে ভর্তুকির

চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে চিনি রফতানিতে বিদ্যমান ভর্তুকি সুবিধার মেয়াদ না বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের মিনিস্টার অব কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স ফুড, কমার্স অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন পীযূষ গয়াল।

ভারতের চিনিকল ও গুদামগুলোয় মজুদ করা চিনির পাহাড় গড়ে উঠেছিল। এসব চিনি বিক্রি করতে মরিয়া দেশটি পণ্যটির রফতানিতে ভর্তুকি দিয়ে আসছিল দুই মৌসুম ধরে। তবে চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে চিনি রফতানিতে বিদ্যমান ভর্তুকি সুবিধার মেয়াদ না বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানায় সংস্থাটি।

ভারতীয় চিনিকলগুলো চাষীদের কাছ থেকে বাকিতে আখ কেনে। পরবর্তী সময়ে উৎপাদিত চিনি বিক্রির অর্থে চাষীদের পাওনা পরিশোধ করা হয়। দুই মৌসুম ধরে উৎপাদনের তুলনায় বেচাকেনা কম হওয়ায় মজুদ করা চিনির পাহাড় গড়ে ওঠে। এর জের ধরে সংকটে পড়ে ভারতীয় চিনিকলগুলো। জমতে থাকে চাষীদের পাওনার পরিমাণ। সংকট মোকাবেলায় ভর্তুকি মূল্যে চিনি রফতানির উদ্যোগ নেয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। দুই মৌসুম ধরে এ উদ্যোগে সাড়া মিলেছে বেশ।

এ বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল সম্প্রতি বলেন, এবারের ২০২০-২১ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে। ভারতেও পণ্যটির মজুদের পাহাড় অনেকটা কমে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে চিনির রফতানি ভর্তুকি সুবিধার মেয়াদ আর বাড়ানো নাও হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে। দ্রুতই এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতে চিনির ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুম শেষ হয়েছে। ১ অক্টোবর শুরু হয়েছে ২০২০-২১ মৌসুম। বিদায়ী মৌসুমে ভারতীয় চিনিকলগুলোকে ভর্তুকি সুবিধার আওতায় সব মিলিয়ে ৬০ লাখ টন চিনি রফতানির কোটা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৯-২০ মৌসুমজুড়ে ভর্তুকি মূল্যের আওতায় ৫৭ লাখ টন চিনি রফতানি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

body { font-family: ‘SolaimanLipi’, Arial, sans-serif !important; }