২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,বর্ষাকাল
E-krishi-logo

প্রচ্ছদ > মাল্টা চাষ করে সফল নওগাঁর ওবায়দুল্লাহ শাহ

মাল্টা চাষ করে সফল নওগাঁর ওবায়দুল্লাহ শাহ

নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার বরেন্দ্র ভুমিতে মাল্টা চাষ করে উল্লেখযোগ সফলতা অর্জন করেছেন ওবায়দুল্লাহ শাহ নামের একজন সৌখিন কৃষক। প্রতি বছর তাঁর উৎপাদিত মাল্টা থেকে আর্থিক আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিক লাভজনক হওয়ায় তাঁকে অনুসরন করে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন মাল্টা চাষে।

নওগাঁ জেলার ঠা ঠা বরেন্দ্র ভুমি অধ্যুষিত পোরশা উপজেলা। উঁচু নিচু ষ্টেডিয়ামের গ্যালারী সাদৃশ্য জমিতে পানি ধরে রাখা খুবই কঠিন। তাই ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে এসব এলাকায় প্রচুর পরিমাণে আমবাগান গড়ে উঠছে। এরই পাশাপাশি পোরশা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের সৌখিন চাষী ওবায়দুল্লাহ শাহ তাঁর নিজস্ব ৫৫ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন মাল্টা, বিভিন্ন প্রজাতির আম এবং পেয়ারা বাগান। এর মধ্যে প্রায় ১৮ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন মাল্টা বাগান । এই গড়ে তুলতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ৮ বিঘা জমির মাল্টা বাগানে বিগত ৩ বছর ধরে মাল্টা ধরছে আর ১০ বিঘা নতুন বাগান। এই ৮ বিঘায় রয়েছে মোট এক হাজার মাল্টা গাছ। প্রথম বছর প্রতি গাছে ৭ থেকে ৮ কেজি, দ্বিতীয় বছর প্রতি গাছে কমপক্ষে ২০ কেজি করে মাল্টা উৎপাদিত হয়েছে। আর এ বছর প্রতি গাছে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ কে জি করে মাল্টা ধরেছে। নাটোর-এর ব্যবসায়ীদের নিকট তাঁরবাগানের মাল্টা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১শ টাকা দরে। সেই হিসেবে এ বছর তাঁর জমির মাল্টা বিক্রি হবে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। তাই এখন তিনি আর্থিকভাবে খুবই লাভবান।

ওবায়দুল্লাহ শাহ’র মাল্টা চাষে সফলতা এবং আর্থিক লাভবান হওয়া প্রত্যক্ষ করে এলাকার অনেক চাষী তাঁদের জমিতে মাল্টা চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আবার অনেকে ছোট আকারে মাল।টা চাষ শুরু করেছেন। তাঁরা নিয়মিত এই মাল্টা বাগানে এসে তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করছেন।

তাঁর এই মাল্টা বাগানে এলাকার প্রায় ১৫/২০ জন পুরুষ এবং নারী শ্রমিক নিয়মিত পরিচর্যার কাজ করছেন। একদিকে যেমন তাদের কাজের স্থাযী নিশ্চয়তা হয়েছে অন্যদিকে প্রতিদিন আড়াইশ টাকা করে মজুরী পেয়ে তাদের সংসার পরিচালনার আর্থিক সংগতি হয়েছে।

বরেন্দ্র অধ্যুষিত এসব উঁচু জমিতে মাল্টা চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল্লাহ শাহসহ এলাকার মাল্টা চাসীদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দেয়ার কথা জানালেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজ আলম জানান, ওবায়দুল্লাহ শাহসহ একটি বড় মাল্টা বাগান গড়ে তুলে অনেক লাভবান হয়েছেন। তাঁকে অনুসরণ করে এলাকার অনেকেই এখন মাল্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকার মাল্টা চাষীদের সার্বক্ষণিক সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

উক্ত ওবায়দুল্লাহ শাহ এ বছর মাল্টা ও বিভিন্ন প্রজাতির আমের চারা বিক্রি করে ১০ লক্ষ টাকা এবং তাঁর এই বাগান থেকে পেয়ারা বিক্রি করে কমপক্ষে আরও ৮ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত আয় করেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

body { font-family: ‘SolaimanLipi’, Arial, sans-serif !important; }