২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,বর্ষাকাল
E-krishi-logo

প্রচ্ছদ > ব্রোকলি চাষে লাভবান বদিরুজ্জামান

ব্রোকলি চাষে লাভবান বদিরুজ্জামান

ফুলবাড়ীবাসী প্রথমে ব্রোকলিকে জঙ্গি বিষাক্ত ভাবলেও এখন আর কাউকে চিনিয়ে দিতে হয় না সবুজ রঙের ব্রোকলি। বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই সবজি। প্রথমবার পরিক্ষামূলক ব্রোকলি জমিতে ফলিয়ে লাভবানসহ এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষক বদিরুজ্জামান। লাভজনক ফলন হওয়ায় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্রোকলি।

ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগন্নাথপুর গ্রামের নিজ জমিতে পরীক্ষামূলক প্রথম ব্রোকলি চাষ করেছেন কৃষক বদিরুজ্জামান। তিনি যশোরের ইমিস্কো এগ্রো কোম্পানি থেকে ব্রোকলির বীজ সংগ্রহ করেন এবং বাড়িতে মাটি ছাড়াই শুধুমাত্র জৈব সারের ওপরে ককশিটে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করেন।

কৃষক বদিরুজ্জামান জানান, তার নিজস্ব ২০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রোকলির ২ হাজার চারা রোপণ করেন। রোপণের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ফলন ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে। ২০ শতক জমিতে সর্বমোট খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তিনি ১৫ হাজার টাকার ব্রোকলি বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করছেন ওই ২০ শতক জমিতে ৩০ হাজার টাকার অধিক ব্রোকলি বিক্রি করতে পারবেন। এই ফলন সর্বনিম্ন ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে জমি থেকে ক্রয় করে বাজারে নিয়ে যান পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

তিনি আরও জানান, এই ফসল আবাদে রোগ বালাইয়ের তেমন কোন প্রভাব নেই। ব্রোকলির বেশ চাহিদা রয়েছে এটি বাজারজাত খুব সহজেই করা যায়। তিনি আরও ২০ শতক জমিতে মারবেল জাতের ব্রোকলি চাষ করেছেন। সেটি ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই ফলন ফলবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ব্রোণ এবং বালাইনাশক পদ্ধতির ফাঁদটি ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছি। তারা সার্বক্ষণিকভাবে বিভিন্নভাবে পরামর্শ প্রদান করেছেন। তার এই লাভজনক আবাদ দেখতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসছেন এবং এটি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষক মালি কান্ত বর্মন ও মোজাফ্ফর হোসেন জানান, ব্রোকলি চাষে বেশ লাভবান হয়েছে বদিরুজ্জামান। তারা বদিরুজ্জামানের কাছে এই সবজি চাষ সম্পর্কে জেনেছেন এবং আগামীতে এই সবজি চাষের পরিকল্পনা করছেন, বদিরুজ্জামানের কাছেই ব্রোকলির চারা সংগ্রহ করবেন তারা।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, ব্রোকলি খুবই সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং উচ্চমূল্যের সবজি। এটি খুবই দ্রুত ফলন হয়। ফলে এই সবজির ফলন ঘরে তোলার পরে ওই জমিতে আবারো অন্যান্য ফসল ফলানো যায়। এখানকার জমিতে ব্রোকলি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। বদিরুজ্জামান পরীক্ষামূলক ব্রোকলি চাষে লাভবান হয়েছে। তাকে দেখে অন্যান্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন ব্রোকলি চাষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

body { font-family: ‘SolaimanLipi’, Arial, sans-serif !important; }