২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,বর্ষাকাল
E-krishi-logo

প্রচ্ছদ > বোরো ধানের বীজতলা পরিচর্যায় করণীয় শৈত্য প্রবাহে

বোরো ধানের বীজতলা পরিচর্যায় করণীয় শৈত্য প্রবাহে

শৈত্য প্রবাহে বোরো ধানের চারা হলুদাভ হয়ে ক্রমশ মারা যায়। প্রকৃতিতে বিরাজ করছে শীত। আস্তে আস্তে বেড়ে চলছে শীতের প্রকোপ। বীজ তলায় বোরো ধানের চারা উৎপাদনের সময় প্রায়ই প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশা পড়ে এবং তীব্র শৈত্য প্রবাহ দেখা দেয়।

শৈত্য প্রবাহে বোরা ধানের বীজতলাসহ অন্যান্য ফসল রক্ষার্থে করণীয় দিকসমূহ জেনে নিই করণীয় দিকসমূহ :

১. সুস্থ্য, সবল চারা পেতে হলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বীজতলায় পানি দিয়ে বীজ তলাকে ডুবিয়ে দিতে হবে এবং পরদিন সকাল বেলা সেই পানি বের করে দিয়ে আবার সন্ধ্যা বেলায় নতুন পানি দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়।

২. বীজ বপনের ৩-৪ দিন পর থেকে নালায় সেচ দিয়ে নালা ভর্তি পানি রাখতে হবে এবং বীজতলায় ৩-৫ সে: মি: পানি ধরে রাখতে হবে যাতে বীজতলার মাটি নরম থাকে।

৩. প্রতিদিন সকালে বীজতলায় চারার উপর জমাকৃত পানি হালকাভাবে দড়ি দিয়ে টেনে ঝরিয়ে দিতে হবে।

৪. শৈত্য প্রবাহের সময় বোরো ধানের বীজতলায় থ্রিপসের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের মাত্র ২৫% এর বেশি হলে এক লিটার পানিতে ২ মিলিলিটার ম্যালাথিয়ন মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

৫. চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতক বীজতলায় ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে।

৬. ইউরিয়া সার প্রয়োগের পর চারা সবুজ না হলে প্রতিশতক বীজ তলায় ৪০০ গ্রাম হারে জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে।

৭. শৈত্য প্রবাহের সময় সরিষার আল্টারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম রোভলাল ৫ ডব্লিউপি মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে।

৮. শৈত্য প্রবাহসহ তীব্র কুয়াশায় আলুর নাবী ধ্বস রোগ দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় অনুমোদিত ছত্রাকনাশক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

৯. ঠান্ডা জনিত ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত সেচ প্রদান করুন। ছোট ফল গাছ ঠান্ডা থেকে রক্ষার জন্য খড়/ পলিথিনশীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

body { font-family: ‘SolaimanLipi’, Arial, sans-serif !important; }