২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,বর্ষাকাল
E-krishi-logo

প্রচ্ছদ > বেগুনের শিকড় গিঁট রোগের কারণ ও প্রতিকার

বেগুনের শিকড় গিঁট রোগের কারণ ও প্রতিকার

বেগুন এক প্রকারের ফল যা সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বেগুন সারা বছরই চাষ করা যায় ও বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু রোগ বালাই বেগুন উৎপাদনের একটি প্রধান প্রতিবন্ধক।  বিশেষ করে শিকড় গিট বেগুনের একটি মারাত্মক রোগ। তাই বেগুনের শিকড় গিঁট রোগসহ বিভিন্ন রোগ দমন সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

চলুন বেগুনের শিকড় গিঁট রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিই:

বেগুনের শিকড় গিঁট রোগ:

রোগের কারণ:  মেলোয়ডোজাইন ইনকগনিটা এবং মেলোয়ডোজাইন যাভানিকা (Methodology incognito & M. Japonica) নামক কৃমির দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।

বিস্তার: মেলোয়ডোজাইন প্রজাতির কৃমি মাটিতে বসবাস করে। আক্রান্ত মাটি, শিকড়ের অংশ, বৃষ্টি ও সেচের পানি এবং কৃষি যন্ত্রপাতির দ্বারা এ রোগ বিস্তার লাভ করে। সাধারণত ২৭-৩০০ সেঃ তাপমাত্রা, হালকা মাটি ও একই জমিতে বৎসরের পর বৎসর বেগুন বা টমেটো পরিবারের সব্জির চাষ করলে এ রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

লক্ষণ:
১.আক্রমণ চারা অবস্থা থেকে শুরু হয়।
২.আক্রান্ত গাছ ছোট, দূর্বল ও হলদেটে রং হয়।
৩.গাছের শিকড় অসংখ্য গিট সৃষ্টি হয় এবং গিঁটে অনেক কৃমি থাকে।
৪.আক্রান্ত গাছের শাখা ও শিকড় নষ্ট হয়ে যায় এবং দিনে গাছ ঢলে পড়ে।

রোগ দমন ব্যবস্থা: 
১. জমিতে সরিষা, বাদাম, গম, ভূট্টা প্রভৃতি শস্য পর্যায় অবলম্বন করতে হবে।
২. ফসল সংগ্রহের পর অবশিষ্টাংশ পুড়ে ফেলতে হবে।
৩. জমি প্লাবিত করে রাখলে এ রোগের কৃমি মারা যায়, তাই সুযোগ থাকলে বছরে একবার প্লাবিত করে রাখতে হবে

৪. হেক্টর প্রতি ৫ টন অর্ধ পচা মুরগীর বিষ্ঠা জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োগের ২-৩ সপ্তাহ পর জমিতে চারা রোপন করতে হবে।
৫. শুষ্ক মৌসুমে জমি পতিত রেখে ২/৩ বার চাষ দিয়ে মাটি ভালভাবে শুকাতে হবে।
৬. রোগের লক্ষণ দেখা গেলে হেক্টর প্রতি ৪০ কেজি কার্বোফুরান (ফুরাডান ৫জি) অথবা ইসাজোফস (মিরাল ৩জি) মাটিতে ছিটিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে দিয়ে হালকা সেচ দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

body { font-family: ‘SolaimanLipi’, Arial, sans-serif !important; }