২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,বর্ষাকাল
E-krishi-logo

প্রচ্ছদ > বাজেটে কৃষিতে অপ্রতুল বরাদ্দে হতাশ ১২ কৃষক সংগঠন

বাজেটে কৃষিতে অপ্রতুল বরাদ্দে হতাশ ১২ কৃষক সংগঠন

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কৃষির জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দ কৃষি ও কৃষকের বর্তমান সংকট মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত বলে মতো দিয়েছে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের ১২টি কৃষক সংগঠন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা কৃষিতে অপ্রতুল বরাদ্দে হতাশা প্রকাশ করে কৃষি ও কৃষকের বিভিন্ন সমস্যা ও সংকটের কথা তুলে ধরেন। এসব সমস্যা সমাধানে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দূরদর্শী পরিকল্পনা মাথায় রেখে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে উপকূলীয় কৃষক সংস্থা, মৎস্য শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় কিষানি শ্রমিক সংস্থা, আদিবাসী সমিতি, হাওর কৃষক ও মৎস্য শ্রমিক জোট, লেবার রিসোর্স সেন্টার, নলছিড়া পানি উন্নয়ন সমিতি, দিঘন সিআইজি, কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী, বাংলাদেশ ফার্মার্স ফোরাম ও কোস্ট ট্রাস্ট।

কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফার্মার্স ফোরামের সচিবালয় সমন্বয়কারী মো. মজিবুল হক মনির। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, উপকূলীয় কৃষক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. শহাবুদ্দিন, গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার প্রধান শামসুজ্জামান খোকন এবং ইক্যুইটিবিডি’র সৈয়দ আমিনুল হক।

মো. মজিবুল হক মনির বলেন, বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার সময় কৃষিকে আসলে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ অথচ কৃষির জন্য বরাদ্দ কমেছে ০.৪১ শতাংশ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ মোট বাজেটের মাত্র ২.৯৯ শতাংশ। বর্তমান অর্থবছরের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল ৩.৪০ শতাংশ কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে করা হয় ২.৭৮ শতাংশ। সুতরাং এই ২.৯৯ শতাংশও যে শেষ পর্যন্ত কমে যাবে সেটা বলাই বাহুল্য। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বার্ষিক কর্মসূচির মাত্র ১.১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বর্তমান অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ ১.২ শতাংশ রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা করা হয় ১.০ শতাংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে কৃষি জমি হ্রাস, খাদ্য ঘাটতি বৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়নের কারণে কৃষি জমি অকৃষি খাতে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পথে তীব্র চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বাজেটে দূরদর্শী বরাদ্দ ও উদ্যোগ প্রয়োজন।

আব্দুল মজিদ বলেন, চাল আমদানির ওপর শুল্ক ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করা হয়েছে। এটা করা উচিত ছিল আরও অনেক আগে, যখন কৃষকের কাছে ধান বা চাল ছিল। সাইদুজ্জামান খোকন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিশন গঠনের দাবি ছিল, সেই দাবি উপেক্ষিত হলো এবারও। এই বিষয়ে আমরা সরকারের বিবেচনা আশা করি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

body { font-family: ‘SolaimanLipi’, Arial, sans-serif !important; }