রাজশাহীর পবা উপজেলার চর মাজারদিয়ার গ্রামের আবুল কালাম। বেলে দোঁয়াশ মাটিতে পেয়ারা চাষে ভাগ্যকে জয় করে নিয়েছেন তিনি। ধু-ধু চরে পেয়ারা চাষে বিঘায় লাভ আড়াই লাখ টাকা হবে বলে আশা করছেন এই চাষি।
আবুল কালাম এখন অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যবস্যা-বাণিজ্যের পাশাপাশি পেয়ারা চাষ করে রীতিমতো স্বাবলম্বী হয়েছেন।
তিনি জানান, বছর খানেক আগে পেয়ারা বাগান করার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথমে ২ বিঘা জমিতে পেয়ারার চাষ শুরু করেন। ২ বিঘা জমিতে ২০০ থেকে আড়াই’শ টি পেয়ারার চারা রোপণ করেন। নিবিড় পরিচর্যায় বেড়ে উঠে পেয়ারা গাছ। বছর যেতে না যেতেই আসে ফুল-ফল। এর পর প্রতিটি পেয়ারা মুড়ে দেওয়া হয় বিষমুক্ত ফ্রুট ব্যাগে।
আবুল কালাম জানান, বাগানের প্রতিটি থাই পেয়ারার ওজন হয় ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত। প্রতিটি গাছ থেকে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি করে পেয়ারা পাওয়া যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এই চরের প্রায় মাঠেই এখন পেয়ারার চাষে ভরে গেছে। চারিদিক সবুজের চাদরে ঢেঁকে আছে। পাহাড়ি ফল মাল্টাও ফলতে শুরু করেছে প্রত্যন্ত চরে। আবার কোথাও লাউয়ের মাচা, ঝিঙ্গে, পটল, বেগুনের খেত।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চরে পেঁয়ারার আবাদ হয়েছে ১০৫ হেক্টর জমি।ফল চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় ঝুঁকছে চাষিরা। অনেকেই আবার অন্যান্য সবজি চাষের বদলে চাষ করছেন ফল। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। তবে, সাম্প্রতিক পেঁয়ারার বাড়ন্ত গাছ মারা যাওয়া বিষয়ে কোন সুরাহা করতে পারেননি কৃষি দপ্তর। এমনটিই জানিয়েছেন কৃষকরা।
চরে পেয়ারা চাষের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে শহরের মানুষ লিজ(ঠিকা) নিয়ে তারা চাষ করতো, এখন আমি নিজেই করি। বর্তমানে এটাই আমার কাজ। বেশ ভালোই লাগছে। এই চাষে খুব তাড়াতাড়ি স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। ২ বিঘার পেয়ারা বাগান থেকে বছরে প্রায় দেড় লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি হয়।