২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,বর্ষাকাল
E-krishi-logo

প্রচ্ছদ > ধানের বীজ সংরক্ষণ কৌশল

ধানের বীজ সংরক্ষণ কৌশল

দেশে প্রতিবছর তিন লাখ মেট্রিক টন ধানবীজ প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে আট হাজার মেট্রিক টন হাইব্রিড ধানবীজ বিদেশ থেকে আমদানি করে ব্যবহার করা হয়। বাকিটা দেশীয় বীজ ব্যবহার করা হয়। বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে। চাষি পর্যায়ে ধানের বীজ সংরক্ষণে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। অন্যথা বীজের জীবনীশক্তি ও অংকুরোদগম ক্ষমতা হ্রাস পাব।

বীজকে পূর্ণ ক্ষমতা সম্পন্ন অবস্থায় পরবর্তী মৌসুম পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখার জন্য যে কৌশল অনুসরণ করা হয় তাকে সংরক্ষণ কৌশল বলে। সংরক্ষিত বীজের বড় শত্রু হল আদ্রর্তা ও তাপমাত্রা। পদ্ধতি সঠিক না হলে বীজ একধরনের ছত্রাক ও পোকার আক্রমণ হয় যা বীজের গজানো ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ও বীজ খেয়ে নষ্ট করে ফেলে। প্রচলিত পদ্ধতিতে মাটির পাত্র, বস্তা, পলিথিনসহ বস্তা, ডোল ইত্যাদিতে বীজ রাখা হয়। এগুলোর অসুবিধা হল-মাটির পাত্রে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র থাকে, বস্তা বা পলিথিন পোকা ও ইঁদুরে কেটে ফেলে, ধানের বীজের খোঁচাতে পলিথিন ছিদ্র হয়ে যায়, এগুলোতে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং বীজ পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণে নষ্ট হয়।

বীজ সংরক্ষণে কোন পাত্র ব্যবহার করবেন : প্লাসস্টিক ড্রাম, টিন বা অন্য কোন ধাতব পাত্র এবং রঙ করা মটকাতে বীজ ভাল থাকে। পাত্রের মুখটি অবশ্যই ভালভাবে লাগাতে হবে যেন বাতাস চলাচল করতে না পারে। এসব পাত্র ইঁদুর বা পোকায় কাটতে পারে না তাই দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়।

সংরক্ষণের জন্য অবশ্য করণীয়:
১. বীজ ঠিক মত শুকিয়ে নিন যাতে আদ্রর্তা ১২-১৩ পারসেন্ট এর নিচে থাকে।
২. পাত্রে রাখার আগে বীজ ভাল মত ঠাণ্ডা করে নিন।
৩. বীজের পাত্র ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন।
৪. পাত্র পূর্ণ করে বীজ রাখুন।
৫. বীজের উপর খালি জায়গা শুকনো ছাই দিয়ে পূর্ণ করে দিন।
৬. নিমপাতা, তামাক পাতা বা বিষকাটালী পোকা দমনে কাজ করে।
৭. পাত্রের মুখটি ভালভাবে বন্ধ করে দিন যেন বাতাস না ঢোকে।
৮. পাত্রটি মাটি থেকে উপরে যে কোন মাচার উপর রাখুন।
৯. বীজ বোনার সময় ছাড়া পাত্রটি খোলার বা বীজ রোদ দেয়ার দরকার নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

body { font-family: ‘SolaimanLipi’, Arial, sans-serif !important; }