চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানি ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৭ লাখ ৬৭ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। দ্য সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভারত ৫ লাখ ২৯ হাজার টন অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানি করেছিল। গত বছরের ২ নভেম্বর অপরিশোধিত পাম অয়েল (সিপিও) রফতানি শুল্ক ৩৭ দশমিক ৫ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ভারতে পাম অয়েলের প্রধান সরবরাহকারী হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। এসইএর উপাত্তে দেখা গেছে, গত মাসে মালয়েশিয়া থেকে সিপিও এসেছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার টন। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছে ২ লাখ ৭০ হাজার টন।
গত মাসে ভারতের মোট ভেজিটেবল অয়েল আমদানি ৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ১০ লাখ ৯৬ হাজার টনে। এর মধ্যে ভোজ্যতেল ছিল ১০ লাখ ৭৪ হাজার ও অভোজ্যতেল ২২ হাজার ৩৪ টন।
নভেম্বর ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২১—তিন মাসে ভারতের মোট ভেজিটেবল অয়েল আমদানি হয়েছে ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার টন, যা গত বছরের একই সময়ের ৩৪ লাখ ৫১ হাজার টন থেকে ৩ শতাংশ বেশি।
গত মাসে সয়াবিন তেল আমদানি লক্ষ্যণীয়ভাবে কমেছে। এবার যেখানে ৮৮ হাজার ৬৬৭ টন সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে সেখানে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আমদানি হয়েছিল ২ লাখ ৬০ হাজার টন। আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় গত মাসে রেকর্ড সর্বনিম্ন সয়াবিন তেল আমদানি হলো। গত নভেম্বরে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ট্রাকচালকদের ধর্মঘট ব্যাপকভাবে তাদের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
১ ফেব্রুয়ারি নাগাদ ভারতের বিভিন্ন বন্দরে ভোজ্যতেলের মজুদ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৭ হাজার টনে। এর মধ্যে পাম অয়েল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ও সয়াবিন তেল ১ লাখ ১৮ হাজার টন।