২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,বর্ষাকাল
E-krishi-logo

প্রচ্ছদ > গমের বাজার হুমকির মুখে চীন-অস্ট্রেলিয়া বিরোধে

গমের বাজার হুমকির মুখে চীন-অস্ট্রেলিয়া বিরোধে

চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সাম্প্রতিক বিরোধের জেরে হুমকির মুখে পড়েছে বৈশ্বিক গমের বাজার। সাম্প্রতিক বিরোধ রাজনীতি ও কূটনীতির সীমানা ছাড়িয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে প্রভাব  বাড়ছেই। যত দিন যাচ্ছে দুই দেশের বিদ্যমান বিবাদপূর্ণ সম্পর্কে জটিলতা ততই বেড়েই চলেছে বাড়ছে উত্তেজনাও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধের জের ধরে চীনা আমদানিকারকরা অস্ট্রেলিয়া থেকে কৃষিপণ্যটির আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে কিংবা বিকল্প আমদানি উৎস খুঁজতে শুরু করলে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের চাহিদা-সরবরাহে ভারসাম্য ও দামে প্রভাব পড়তে পারে।চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়েকে নিয়ে যখন পশ্চিমা দেশগুলোয় বিতর্ক তুঙ্গে।ঠিক তখন অস্ট্রেলিয়া ফাইভজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, অস্ট্রেলিয়া সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতে ২০১৮ সালে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে এমনটি অবস্থান নিয়েছিল। সেই থেকে চীন-অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করে। যদিও একে অন্যের ওপর রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ নিয়ে দুই দেশের বিরোধ আগে থেকেই ছিল।

২০১৯ সালের শেষভাগে চীনের উহানে করোনা সংক্রমণের প্রথম ঘটনা শনাক্ত হয়। এরপর প্রাণঘাতী এ ভাইরাস পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়ানোর দায় চীনকে দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে সোচ্চার কণ্ঠ অস্ট্রেলিয়ার। দেশটি করোনা ছড়ানোর দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে চীনের বিচারের দাবি তুলেছে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেইজিং। তবে এর জের ধরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রকাশ্য রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিরোধে জড়িয়েছে চীন।

বিরোধের অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া থেকে যব, তামা, ওয়াইনের আমদানি চালান স্থগিত করেছে বেইজিং। আরোপ করা হয়েছে বাড়তি আমদানি শুল্ক। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মূল্যবান কাঠ আমদানিও। বিরোধের কালো ছায়া পড়েছে গমের বাজারেও। অস্ট্রেলীয় গম আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে দিয়েছেন চীনা আমদানিকারকরা। কৃষিপণ্যটি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তাভাবনা করছে বেইজিং।

অস্ট্রেলীয় গমের অন্যতম ক্রেতা চীন। এখন দেশটি যদি অস্ট্রেলিয়া থেকে গম আমদানি বন্ধ করে দেয়, তবে দুই দেশের মধ্যে বছরে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এগ্রোকমের এক্সপোর্ট ম্যানেজার ব্রেট দোনোঘুই বলেন, রাজনৈতিক বিরোধের প্রভাব বাণিজ্যে দেখা যাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে চীন-অস্ট্রেলিয়ার বিষয়টি ভিন্ন। চীনের বাজারে অস্ট্রেলিয়ার যব ও গমের চাহিদা বেশি। বিরোধের জের ধরে এসব পণ্যের ব্যবসা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

body { font-family: ‘SolaimanLipi’, Arial, sans-serif !important; }