২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,বর্ষাকাল
E-krishi-logo

প্রচ্ছদ > ক্ষতির মুখে দুধ খামারিরা

ক্ষতির মুখে দুধ খামারিরা

করোনার প্রভাবে দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী কারখানাগুলো সীমিত আকারে দুধ সংগ্রহ করায় বিপাকে পড়েছেন সিরাজগঞ্জের হাজার হাজার খামারি। দেশের দুগ্ধ ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলায় প্রতিদিন লাখ লাখ লিটার উৎপাদিত দুধ কাঙ্ক্ষিত মূল্যে বিক্রি করতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলায় খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ কার্যক্রম সীমিত করে করেছে দেশের বৃহৎ দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে প্রায় দেড় লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করতো প্রতিষ্ঠানটি সেখানে বর্তমানে দিনে একবার তার অর্ধেকেরও কম দুধ সংগ্রহ করছে।

পাশাপাশি তরল দুধ সংগ্রহ বন্ধ রেখেছে প্রাণ, আড়ংসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ফলে জেলার প্রায় ১৩ হাজার গরুর খামারে উৎপাদিত তরল দুধ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন গো-খামারিরা। আর্থিক ক্ষতির কারণে দুঃচিন্তায় রয়েছেন খামারিরা।

এ অবস্থায় ক্ষতি পুষিতে নিতে মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষের কাছে সহায়তার দাবি মিল্কভিটার তালিকাভুক্ত খামারিদের।

খামারিদেরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় কৃষি খাতের মতো দুগ্ধ শিল্পকেও প্রণোদনা বা ভর্তুকির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচারক জিহাদ আল ইসলাম।

তিনি বলেন, কৃষি খাতে যেমন ভর্তুকি দেয়া হয় এই খাতেও তেমন ভর্তুকি দেয়া হলে খামারিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।

তবে এব্যাপারে মিল্কভিটা ও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কোনো কর্মকর্তা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। জেলায় মোট দুগ্ধজাত গাভী রয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ। যা থেকে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

body { font-family: ‘SolaimanLipi’, Arial, sans-serif !important; }