আকলিমা বেগম কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চরপেচাই গ্রামের বাদাম চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বাদাম চাষ করে তিনি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন।
স্বামী চলে যাওয়ায় তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। ৬ মাস স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে তারপর তিনি চলে যান তার ভাইয়ের বাড়ি। তার ভাইয়ের সাহায্যে অন্যের জমি লিজ নিয়ে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন তিনি। বর্তমানে অন্য পুরুষ কৃষকদের সাথে পাল্লা দিয়ে, অভাবকে দূরে ঢেলে দিয়ে বাদাম চাষ করে সফল হয়েছেন। এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন।
আকলিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী ৫ বছর যাবত আমার আর আমার সন্তানের কোনো খবর নেননি। ভাইয়ের সহযোগীতায় চরাঞ্চলে চরপেচাই এলাকায় মানুষের জমি লিজ নিয়ে বাদাম, ভুট্টা ও ধানের চাষাবাদ শুরু করি। এবং তিন সন্তানকে নিয়ে স্বচ্ছলভাবে জীবন-জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বড় ছেলে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পেরেছে। তারপর সে আমার সাথে জমিতে কাজ করে। আর ছোট ছেলে আর মেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার ভাইয়েরা আমার সব ধরনের সহযোগীতা করছে থাকার জায়গার ব্যবস্থাও করে দিয়েছে।
আমি ৩ বিঘা জমিতে বাদাম, ভুট্টা ও ধান চাষ করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাদামের ব্যাপক ফলন হয়। এবছরও বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, আকলিমা একজন সংগ্রামী নারী। একই সাথে জীবিকা অর্জন ও সন্তানদের পড়াশোনা করানো খুবই কষ্টের। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন। তার মতো অন্য নারীরা কৃষি কাজে এগিয়ে আসলে কৃষিতে আমূল পরিবর্তন আসবে। কৃষি বিভাগ থেকে আকলিমাকে প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহায়তা দেয়া হবে।