গত একমাস আগেও প্রতি পিস লেবু যেখানে ৫-৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল সেই লেবুই এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ পয়সা দরে। সারাবছর ধরে লেবুর চাহিদা থাকায় প্রতিবছর যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন চাষি । যারফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও আসছেনা পাইকার। যার কারণে বাজারে দাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি লোকসানে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, চলতি বছর ২০৮ হেক্টর জমিতে হয়েছে লেবুর চাষ। যেখান থেকে প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন লেবু উৎপাদন হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন।
জেলার বড়াইগ্রামে আহমদপুরসহ আশেপাশের বাজারগুলোতে প্রতি পিস লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ পয়সা থেকে ৮০ পয়সায়। সরবারহ বাড়ার পাশপাশি পাইকাররা না আসার লেবুর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। এতে করে লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লেবু চাষিরা।
লেবু চাষি কালাম জানান, বর্তমানে লেবুর দাম নেই বললেই চলে। গাছে লেবু পেকে যাচ্ছে না তুললে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই দাম কম হলেও বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। এতে করে লোকসান হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জেলার উৎপাদিত লেবুর সিংহভাগ ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু বর্তমানে ঢাকায় তেমন একটা লেবুর চাহিদা নেই। যারফলে ঢাকার বড় বড় পাইকাররা লেবু নিতে আসছেনা। যে কারণে লেবুর দাম কমে গেছে। এতে করে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও তিনি স্বীকার করেন।
বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে। এই সময়ে সারাদেশে লেবুর ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। রাজধানীতে লেবুর ব্যাপক চাহিদা থাকে। কিন্তু লেবুর সররবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীসহ সব জেলা শহরগুলোতেই দাম কমে গেছে। তবে সরবরাহ কমে গেলে এই অবস্থা বেশিদিন চলমান থাকবে না।