লটকন চাষে স্বাবলম্বী ময়মনসিংহে নাঈম, বাৎসরিক আয় ৪ লাখ টাকা

Ads

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় লটকন চাষে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছেন কৃষক আবু নাঈম। আগে জঙ্গলের ফল হিসেবে পরিচিত হলেও লটকন এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে নতুন নতুন বাগানের সংখ্যা। এবার ফলন একটু কম হওয়ায় বাজারে দাম একটু বেশি।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলার লাল রঙের মাটিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও খনিজ উপাদান বিদ্যমান, তাই এখানে লটকনের ভালো ফলন হয়। চলতি মৌসুমে ফুলপুরে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে লটকন চাষ হচ্ছে। যা প্রতি হেক্টরে ১৫ টন হারে লটকনের ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নাঈম জানান, বাবার পৈতৃক জমিতে বিভিন্ন বনজ ও ফলদ গাছের সঙ্গে লটকনগাছ রয়েছে তাঁর ৬৫০টি। প্রায় ৫০০ গাছে লটকন ধরেছে। এরই মধ্যে বিক্রিও হচ্ছে পাইকারিভাবে। দামও পাচ্ছেন বেশ ভালো। তবে লকডাউনে লাভের পরিমাণ কম। তার পরেও প্রায় দেড় লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। এবারের মৌসুমে শুধু লটকন থেকে তিন-চার লাখ টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে স্থানীয় চাষিরা বলেন, উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া লটকন চাষের জন্য উপযোগী। এছাড়াও দিন দিন মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে খাদ্য ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ লটকনের চাহিদা বাড়ছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই লটকনের চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কৃষকদের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া লটকনে রোগ বালাইয়ের তেমন সংক্রমণ না হওয়ায় উৎপাদন খরচ কম, ফলনও ভালো হয়।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...