চলতি মৌসুমে জেলায় ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা লক্ষ্যমাত্রা চাষের ধরা হয়। সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন। হেক্টরে ১ দশমিক ৫৯ টন ফলন ধরা হয়েছে। (উফশী) জাতের বারি সরিষা- ১৪, বারি সরিষা- ১৭, বারি সরিষা- ১৮। এছাড়া বিনা জাতের সরিষা চাষ হচ্ছে।
চলতি বছরে যে দামে সরিষা বিক্রি হয়েছে এর আগের কয়েক বছরের মধ্যে এ দাম পাননি তারা। চার হাজার টাকা মণ হিসেবে শুকনো সরিষা বিক্রি হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বলেও বলছেন তারা। অনেক ব্যবসায়ী এক’শ থেকে পাঁচশ মণ সরিষা কিনে মজুদ করে রেখেছিলেন। তারা কয়েক মাসের মধ্যে মণে প্রায় হাজার টাকা লাভ করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার এক চাষি হামিদ মোল্লা তিন বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। তার খরচ হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। আর সরিষা পেয়েছেন ২০ মণ। ২০ মণ সরিষা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেছেন ৪৮ হাজার ৪০০ টাকায়।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। এর আগে কোনদিন সরিষার এতো দাম পাইনি। ২৮০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি কাঁচা ভেজা অবস্থায়। আর কিছু রেখেছিলাম পেড়াই (তেল তৈরি করে) করে খেয়েছি। এখন যে দাম রয়েছে তা কয়েক বছরের চেয়ে সর্বোচ্চ। এখন ৪ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: মোজদার হোসেন বলেন, অনুকূল আবহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে এ এলাকার কৃষক সরিষা আবাদ করে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদও হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কৃষি বিভাগ এরই মধ্যে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। বাজারমূল্য ভালো থাকলে সরিষা চাষের দিকে কৃষকেরা আরো ঝুঁকবেন। টরি-৭ জাতের সরিষা আমরা নিরুৎসাহিত করছি চাষিদের। ফলন কম হওয়ার কারণে এটা চাষ করতে নিষেধ করা হচ্ছে।