১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,শরৎকাল

প্রচ্ছদ > রাজশাহীতে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে সরিষা, খুশি চাষিরা

রাজশাহীতে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে সরিষা, খুশি চাষিরা

রাজশাহীতে এবারই রেকর্ড দামে এই সরিষার শস্য বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজশাহীতে এবার সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে কয়েক বছরের তুলনায় । আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হয়েছে ভালো ফলন। অবশেষে তেল জাতীয় এ ফসলের বাজারও বেশ ভালো।
মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ কাঁচা সরিষা দুই হাজার পাঁচ শ’ থেকে দুই হাজার সাত শ’ টাকায় বিক্রি করছেন কৃষক। বর্তমানে রাজশাহী কৃষি অঞ্চল রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলায় শুকনা সরিষা তিন হাজার ছয় শ’ থেকে তিন হাজার সাত শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। সবেচেয়ে ভালো মানের সরিষা ৪ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, কাঁচা সরিষা এর আগে এমন দামে কখন বিক্রি করতে পারেননি তারা।

চলতি মৌসুমে জেলায় ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা লক্ষ্যমাত্রা চাষের ধরা হয়। সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন। হেক্টরে ১ দশমিক ৫৯ টন ফলন ধরা হয়েছে। (উফশী) জাতের বারি সরিষা- ১৪, বারি সরিষা- ১৭, বারি সরিষা- ১৮। এছাড়া বিনা জাতের সরিষা চাষ হচ্ছে।

চলতি বছরে যে দামে সরিষা বিক্রি হয়েছে এর আগের কয়েক বছরের মধ্যে এ দাম পাননি তারা। চার হাজার টাকা মণ হিসেবে শুকনো সরিষা বিক্রি হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বলেও বলছেন তারা। অনেক ব্যবসায়ী এক’শ থেকে পাঁচশ মণ সরিষা কিনে মজুদ করে রেখেছিলেন। তারা কয়েক মাসের মধ্যে মণে প্রায় হাজার টাকা লাভ করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার এক চাষি হামিদ মোল্লা তিন বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। তার খরচ হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। আর সরিষা পেয়েছেন ২০ মণ। ২০ মণ সরিষা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেছেন ৪৮ হাজার ৪০০ টাকায়।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। এর আগে কোনদিন সরিষার এতো দাম পাইনি। ২৮০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি কাঁচা ভেজা অবস্থায়। আর কিছু রেখেছিলাম পেড়াই (তেল তৈরি করে) করে খেয়েছি। এখন যে দাম রয়েছে তা কয়েক বছরের চেয়ে সর্বোচ্চ। এখন ৪ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: মোজদার হোসেন বলেন, অনুকূল আবহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে এ এলাকার কৃষক সরিষা আবাদ করে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদও হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কৃষি বিভাগ এরই মধ্যে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। বাজারমূল্য ভালো থাকলে সরিষা চাষের দিকে কৃষকেরা আরো ঝুঁকবেন। টরি-৭ জাতের সরিষা আমরা নিরুৎসাহিত করছি চাষিদের। ফলন কম হওয়ার কারণে এটা চাষ করতে নিষেধ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *