বাংলাদেশের আম বাগান ও উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন পূর্বক আম ক্রয়ে আগ্রহী দেখিয়েছে চীন। আমের গুণগতমান ও তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষায় সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে দেশটির কাস্টমস বিভাগ।
সম্প্রতি সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাক্ষাৎ করে এসব বিষয় জানান। কৃষিতে চীনের বিনিয়োগ কামনা করে এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণ করতে চীনের বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশের কৃষকেরা যাতে কম দামে আধুনিক কৃষিযন্ত্র পেতে পারে, এক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, চীন থেকে তুলনামূলক কম দামে আমরা যন্ত্র কিনতে পারি।
এদিকে দেশের সবথেকে বেশি আম উৎপাদিত হয় চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায়। এছাড়াও অন্যান্য জেলায় কম্বেশি আম উৎপাদিত হয়। প্রতি বছর এই জেলাগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ আম মধ্যপ্রাচ্য অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় এর তথ্যমতে, গতবছর ৩৪টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ১ হাজার ২৫৬ টন, ইতালিতে ২৯৬ টন, সৌদি আরবে ২৬০ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩৭ টন, কাতারে ১১১ টন, সিঙ্গাপুরে ৫৫ টন, সুইজারল্যান্ডে ১৪ টন, জার্মানিতে ৭০ টন, ফ্রান্সে ৮৫ টন, সুইডেনে ৬৫ টন, কুয়েতে ২১৮ টন ও কানাডায় ৪০ টন আম রপ্তানি হয়েছে।