নওগাঁ’র বদলগাছি উপজেলায় নিজস্ব হ্যাচারী বিভিন্ন দেশী প্রজাতির রেনু পোনা উৎপাদন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন পিয়াল নামের এক বেকার যুবক। জেলার গুন্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় পুকুরচাষীরা তার হ্যাচারী থেকে রেনু পোনা নিয়ে মাছচাষ করে লাভবান হচ্ছেন। অন্যদিকে তার এই সাফল্যে এলাকার অনেকেই এগিয়ে অঅসছেন অন্য বেকার যুবকরা।
জেলার বদলগাছি উপজেলাধীন কাশিমালা গ্রামের বেকার যুবক পিয়াল হোসেন পড়াশোনা মেষ করে একটি কাজের আশায় ঘুরছিলেন। না পেয়ে মৎস্য হ্যাচারীতে কর্মী শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করেছেন। এক সময় জীবিকার তাগিদে মাত্র সামান্য টাকা নিয়ে বাড়ি ছাড়ছিলেন। এ সময় এক মৎস্য চাষীর পরামর্শে ফিরে এসে তারই মৎস্য খামারে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকেই শুরু।
এক সময় স্বপ্ন দেখেন নিজের একটি মৎস্য খামারের। স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০১৯ সালের শুরুতেই স্বল্প পরিসরে শুরু করেন রেনু উৎপাদন। মাত্র দুই বছরের মাথায় বর্তমানে তার একটি পূর্ণাঙ্গ মৎস্য হ্যাচারী। ১ বিঘা ৫ কাঠা জমির উপর গড়ে তুলেছেন তার এই মৎস্য হ্যাচারী। নাম সদিয়েছেন মুকিযোদ্ধা মৎস্য হ্যাচারী এন্ড মৎস্য খামার। এখানে তিনি দেশী বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের রেনু উৎপাদন করছেন। উৎপাদন করছেন রুই, কাতলা, দৃগেল. শিং. মাগুর, পাঙ্গাস, ট্যাংড়া, গুচি, বাইন, পাব্দা, মনোসেক্স তেলাপুইয়া, থাই কৈ, ভেদগ কৈ ইত্যাদি মাছের রেনু পোনা। তিনি বেশ লাভবান হচ্ছেস এতে।
তার এই হ্যাচারীতে তিনি উৎপাদন করছেন অতি উন্নত জাতের রেনু পোনা। এসব পোনা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ পামেল জয়পুরহাট, নাটোর, রাজশাহী ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন পুকুরমালিখ নিয়ে গিয়ে তাদের পুকুরে চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
তাঁর এই সফল উদ্যোগ দেখে এলঅকার অনেক বেকার যুবকদের চাকুরীর পিছণে না ছুটে মৎস্য এবং হ্যাচারী ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ঠ করেছে। অনেকেই এগিয়ে আসছেন পিয়ালের মত মৎস্য হ্যাটারী করতে।
পিয়ালের এই মৎস্য হ্যাচারী সম্পর্কে অবহিত রয়েছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়ে থাকে এবং হ্যাচারী সম্পর্কে নানা গঠনমুলক পরামর্শ প্রদান করে থাকেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।