পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা নওগাঁয়

Ads

নওগাঁয় পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। গত কয়েক বছর ধরে পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকরা পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে আবারও পাটের সুদিন ফিরে আসছে। পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে পাট ও পাটজাত দ্রব্যে ব্যবহার বাড়াতে ভোক্তাদের আগ্রহী করা হচ্ছে। অপরদিকে পাট চাষে আগ্রহী করতে চাষিদেরকে সরকার থেকে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। গত বছর থেকে আবারও পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন চাষিরা।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কম পরিমাণ জমিতে চাষ হলেও গত বছর বাজারে ভালো দাম পেয়েছিল চাষিরা। এবার দেশি, তোষা এবং মেস্তা জাতের পাট চাষ করেছেন কৃষকরা। দেশি জাতের মধ্যে সিভিএল-১ ও ডি-১৫৪, তোষা জাতের মধ্যে ও-৪, ৭২, চাকা ও বঙ্গবীর এবং মেস্তা জাতের পাট উল্লেখযোগ্য। যেখানে দেশি জাতের ৫০০ হেক্টর, তোষা জাতের ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর এবং মেস্তা জাতের ৪০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।

সদর উপজেলায় ৯১০ হেক্টর, রানীনগরে ৩৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ২৩৫ হেক্টর, বদলগাছীতে ১ হাজার ৮১৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ১১৫ হেক্টর, পত্নীতলায় ২৩ হেক্টর, ধামইরহাটে ১ হাজার ৫২০ হেক্টর, মান্দায় ১ হাজার ৯৯০ হেক্টর। গত বছর প্রকার ভেদে প্রতিমন পাট ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।

পাট চাষি মকবুল হোসেন বলেন, চার বিঘা জমিতে উন্নত জাতের পাট লাগিয়েছিলাম। গত বছরও একই পরিমাণ জমিতে পাট লাগিয়েছিলাম। গত বছর ২৫০০ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি করেছিলাম। যা বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ দাম বেশি পেয়েছি।

আরেক কৃষক কাজী আব্দুস ছালাম জানান, পাট লাগানো থেকে শুরু করে ঘরে উঠানো পর্যন্ত প্রচুর কষ্ট করতে হয়। কিন্তু সে তুলনায় দাম যেত না। গতবছর ভালো দাম পেয়েছি। ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা মণ পর্যন্ত বিক্রি করেছিলাম। দাম ভালো পাওয়ার কারণে এবং লাভবান হওয়ায় এ বছর ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি।

নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামশুল ওয়াদুদ বলেন, আমরা পাট চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষক পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং পাটের ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছে। পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে সর্বক্ষেত্রে পাটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...