দেশে কফির প্রথম জাত উদ্ভাবন করলো ‘বারি’

Ads

দেশে প্রথম কফির জাত উদ্ভাবন করলো বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) আওতাধীন খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। অনুমোদন মিললে এটিই হবে দেশের কফির প্রথম জাত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক আবু তাহের মাসুদ বলেন, “খুব শিগগির এটি অনুমোদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এটি হবে রোবাস্তা প্রজাতির একটি কফির উন্নত জাত। পাহাড়ে এর ফলন বেশ ভালো ও দ্রুত হয়। পোকার উপদ্রবও কম হয়। এছাড়াও দেশের আবহাওয়ায় কফি চাষ যোগ্য।

পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বাগানের তত্ত্বাবধায়ক বলিন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, প্রতিটি গাছ থেকে এক মৌসুমে সাত থেকে আট কেজি কফিফল তোলা যায়। রোপণের পর তিন বছরের মধ্যেই ফুল আসতে শুরু করে। গত বছর তাঁরা এই বাগান থেকে ৪৫০ কেজি কফি তুলতে পেরেছিলেন। এ বছরও এমনই হবে বলে মনে করছেন তিনি। আপাতত এগুলো গবেষণাকেন্দ্রের ভেতর বসানো মেশিনে প্রক্রিয়াজাত করে পরিচিতজনদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) হর্টিকালচার উইংয়ের তথ্য মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কফির উৎপাদন এলাকা ছিল প্রায় ১১৮.৩ হেক্টর, মোট উৎপাদন ছিল প্রায় ৫৫.৭৫ টন। ডিএইয়ের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের তথ্য মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি করা প্রক্রিয়াজাত কফির পরিমাণ ছিল ৩২.৫১৭ টন। যার বাজারদর পাঁচ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

বর্তমানে পাহাড়ের তিন জেলায় কফি উৎপাদিত হলেও এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই হয় বান্দরবানে। আশাজাগানিয়া খবর হলো, পার্বত্যাঞ্চল ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী ও রংপুর এবং টাঙ্গাইলে কফি চাষ শুরু হয়েছে।

Ads
আপনি এটাও পছন্দ করতে পারেন
Loading...